ইছামতি নদী উন্নয়ন প্রকল্প: একনেকে অনুমোদনে পাবনায় আনন্দ মিছিল

ইছামতী নদী প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হওয়ায় পাবনায় আনন্দ মিছিল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: অবশেষে পাবনা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ‘শহরবাসীর প্রাণ’ খ্যাত ঐতিহাসিক ইছামতি নদী উন্নয়ন প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) পাশ হয়েছে। দখল-দূষণে মৃতপ্রায় পাবনার এই ঐতিহাসিক নদী সংস্কারের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক স্লোগানের উপকরণ ছিল। পাবনার কৃতী সন্তান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের হস্তক্ষেপে এ বছর হালে পানি পায় প্রকল্পটি। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ইছামতি নদী দখলমুক্ত করে খনন এবং সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করার প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন হয়।

এদিকে প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ায় পাবনায় আনন্দ মিছিল হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন— জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, রাষ্টপতিপুত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আরশাদ আদনান রনি, চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাস্টার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, ইছামতী নদী উদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি এস এম মাহবুব আলম।

বক্তারা ইছামতী নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প একনেকের সভায় অনুমোদন হওয়ায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বলেন, ইছামতী নদী দখলমুক্ত করে প্রবহমান করার স্বপ্ন পাবনাবাসীর। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তাই নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে ইছামতী নদী উদ্ধার হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরশাদ আদনান রনি বলেন, ‘প্রকল্পটির প্রস্তাবিত ব্যয় ১৫৫৪ কোটি টাকা। আমার বাবার ইচ্ছা আছে, আপনাদের দাবি আছে, সেনাবাহিনীকে দিয়ে প্রকল্পের কাজটি করার। উনিও চান সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সুচারুভাবে কাজটি সম্পন্ন হোক। এই কাজটি আমি নিজে থেকে পর্যবেক্ষণ করব যাতে প্রকল্পের কাজটি সুন্দরভাবে ও সুষ্ঠুভাবে হয়। অন্য শহরের মতো পাবনাও দৃষ্টিনন্দন শহর হবে। সেই লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি পাবনার জন্য কাজ করছেন।’

সংবাদ সম্মেলন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জেলা স্কুলের সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।