ফলাফল ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। রোববার দুপুরে রাজশাহী কলেজে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় বিগত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। বরাবরের মতো এবারও ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে আছেন। রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৪৯টি কলেজের ১ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮০ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৬০। ২০২১ সালে সেটি ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ ছিল। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ২৫৮ শিক্ষার্থী। এর আগের বছর ২১ হাজার ৮৫৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। সে হিসাবে জিপিএ-৫ কমেছে প্রায় অর্ধেক।
ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে আছেন। মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৭ আর ছেলেদের ৭৩ দশমিক ৫৫। মোট ৫ হাজার ৮১৩ মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন; ছেলেরা পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৪৫ জন।
প্রকাশিত ফলাফল শিটে দেখা গেছে, শিক্ষা বোর্ডের চারটি প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করতে পারেননি। শতভাগ পাস করেছে ৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এবার এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৭৮০। পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন ১১ জন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আটটি জেলা আছে। এসব জেলার মধ্যে ফলাফলে এগিয়ে আছে রাজশাহী। রাজশাহীতে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৩৯। এরপর বগুড়ায় ৮৩ দশমিক ২৩, নাটোরে ৭৮ দশমিক শূন্য ৯, নওগাঁয় ৭৬ দশমিক ৪৭, পাবনায় ৭৬ দশমিক ৩৩, সিরাজগঞ্জে ৭৪ দশমিক ৭৪, জয়পুরহাটে ৭৩ দশমিক ৮৫ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
এর আগে আজ সকাল ১০টার পর গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কম্পিউটারের বোতাম চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। এরপর বিকেলের দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফল শিট সরবরাহ করা হয়।
এদিকে ফলাফল পাওয়ার পর আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা ফলাফল নিতে কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হন। ফলাফল ঘোষণার পর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান।