প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকা, ৩১ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নির্বাচনের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করে ‘ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটি’ (নির্বাচনী তদন্ত কমিটি)। এই কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এই কমিটির দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে  বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের প্রবেশমুখে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। বেলা পৌনে তিনটার দিকে সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তারা সুপ্রিম কোর্টে আসেন। তিনটার দিকে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। সিইসির সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার। সাক্ষাৎ শেষে পৌনে চারটার দিকে তাঁরা বেরিয়ে আসেন।

এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের পর তাঁকে অনেকটা আনুষ্ঠানিক অভিনন্দনও জানিয়েছি। আমরা জেনেছি আরও অনেক সংস্থা প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমাদের একটু দেরি হয়ে গেছে।’

সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি একটি বিষয় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘সেটি হলো আসন্ন জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে বিচারকেরা ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। এটি এবার বন্ধের (আদালতের অবকাশ) সময় হবে, সিভিল কোর্ট অবকাশের সময় (ডিসেম্বর) হবে। সিভিল কোর্ট অবকাশের কারণে যেন ওই দায়িত্বটা বন্ধ না থাকে, বন্ধ থাকলে আমাদের ওই কাজটি পিছিয়ে যাবে। এটি উনিও করতেন, তাঁকে জানিয়ে রেখেছি। যাতে ওই সময়ে উনারা সিভিল কোর্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডিসেম্বর মাসে। জানুয়ারি মাসে উনারা দায়িত্ব পালন করবেন আগের মতো করেই, এই এতটুকু আলোচনা হয়েছে। এটি উনি বলেছেন অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন। আমরা হয়তো সময় হলে তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেব।’

নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত নির্বাচনের সময় (২০১৮ সালে) ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করে এই কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের আগে পর্যন্ত এই কমিটি দায়িত্ব পালন করে।

এ সময় এক সাংবাদিক সিইসিকে প্রশ্ন করে বলেন, একটি সূত্রে জানতে পেরেছি আপনি প্রধান বিচারপতিকে বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমঝোতার বিষয়ে বলেছেন। উনি কী বলেছেন? জবাবে সিইসি বলেন, ‘একেবারেই সত্য কথা নয়। এ রকম কোনো আলোচনাই হয়নি।’