বিএনপির দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিন রাজধানীর বাংলামোটর মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয় | ফাইল ছবি |
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসমাবেশ–পরবর্তী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গত ২৯ অক্টোবর থেকে গত ২৫ দিনে দেশে ৬৮৬টি স্থাপনা ও যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। এরপর দলটি হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। তারা কর্মসূচি বাস্তবায়নে নাশকতা ও হিংসাত্মক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতালে ২৯ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ২৭৫টি যানবাহন, ২৪টি স্থাপনা ভাঙচুরসহ ৩১০টি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ২৯০টি যানবাহন, ১৭টি স্থাপনাসহ মোট ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর মধ্যে ২ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলায় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, ৫ নভেম্বর পিরোজপুর, ৬ ও ১৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের দুটি অফিসে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করেছে। ১৯ নভেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের ১৩২ নম্বর গিলাশ্বরে মরহুম আবদুল জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের তৈরি স্কুলে অগ্নিসংযোগ করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অবরোধ চলাকালে ৩১ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত রেলওয়েতে ২৪টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিনটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, ছয়টি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ এবং নয়টি স্থানে রেললাইনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।