রাফাহ ক্রসিং দিয়ে মিসরে প্রবেশ করছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। দক্ষিণ গাজা, ফিলিস্তিন, ১ নভেম্বর | ছবি: এএফপি |
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: তিন সপ্তাহের বেশি সময় আগে ইসরায়েল বোমা হামলা শুরু করার পর এই প্রথম গাজা ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছেন লোকজন। বুধবার প্রথমবারের মতো গাজা সীমান্তের সঙ্গে মিসরের রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিন শর বেশি বিদেশি পাসপোর্টধারী ব্যক্তি সীমান্ত পার হয়ে মিসরে প্রবেশ করেছেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত রোগী নিয়ে ২০টির বেশি অ্যাম্বুলেন্সও মিসরে ঢুকেছে।
প্রথম ধাপে ৫০০–এর মতো বিদেশি নাগরিক এবং ৮৮ জন আহত ফিলিস্তিনিকে মিসরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। কারিগরি ত্রুটির কারণে গাজা অংশে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাসপোর্ট যাচাইয়ের কাজ করা যাচ্ছে না। সে কারণে একজন কর্মকর্তা হাতেই পাসপোর্ট পরীক্ষা করে ফিলিস্তিন ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছেন। গাজা উপত্যকা ছেড়ে যাওয়ার তালিকায় যাদের নাম আছে, শুধু তাদেরকেই মিসরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ার পরে একেকটি দলকে বাসে করে মিসরের অংশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর সেখানে প্রত্যেকের পাসপোর্ট যথাযথভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ ছাড়া রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ২০ থেকে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স মিসরে ঢুকেছে। এসব অ্যাম্বুলেসে ইসরায়েলের হামলায় গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিরা রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিল্ড হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে।
তিন শর বেশি বিদেশি পাসপোর্টধারী ব্যক্তি সীমান্ত পার হয়ে মিসরে প্রবেশ করেছেন | ছবি: এএফপি |