ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে নদী পথে বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে কীর্তনখোলা নদী পারাপার করছে। ষ্টীমার ঘাট, বরিশাল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে। এটি এখন দুর্বল হয়ে গেছে। আর দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে পটুয়াখালী এলাকায় অবস্থান করছে। বেলা চারটার দিকে দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আর মিধিলি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মোংলা ও পায়রা বন্দরে দেওয়া সাত নম্বর বিপৎ সংকেত নামিয়ে ৩ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরের ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ও সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছিল, মিধিলি খুব বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় হবে না। বাস্তবেও এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল পটুয়াখালীতে। বেলা তিনটার দিকে সেখানে ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যায়।

আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এলাকায় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল ৩ টায় উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে বর্তমানে পটুয়াখালী ও এর কাছাকাছি এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ভেতরে আরও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়েধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।