রাজধানীর গুলশানে ইইউর হেড অব ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে এবি পার্টির নেতাদের বৈঠক হয়। ঢাকা, ১১ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। তাঁরা বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। এ ছাড়া এবি পার্টিকে নিবন্ধন না দেওয়া ও নির্বাচন কমিশনের ‘নানা বিতর্কিত কার্যক্রম’ তাদের গ্রহণযোগ্যতার সংকট তৈরি করেছে।

বুধবার রাজধানীর গুলশানে ইইউ ঢাকা দপ্তরে ইইউর হেড অব ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে দলটির নেতাদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে এবি পার্টির এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকের শুরুতে এবি পার্টির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সম্প্রতি ইইউর প্রাক্–নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের ঢাকা সফর এবং তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। পরে তাঁরা বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না। দুঃখজনকভাবে গণতান্ত্রিক রূপান্তর, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক ব্যর্থতা রয়েছে।

এবি পার্টির নেতারা ইউরোপের দেশগুলোয় বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমার আশঙ্কা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা তুলে ধরেন। দেশের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে ও প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ছাড়াও অন্যান্য পণ্য আমদানিতে ইইউ কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা।

শ্রম অধিকার নিয়ে এবি পার্টির দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করা, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ, যৌন হয়রানি বন্ধসহ কাজের ভালো পরিবেশের জন্য শিল্প ও ক্রেতাদের গাইড লাইন অনুসরণ করার বিষয়ে ইইউর সঙ্গে কার্যকর মতৈক্যে পৌঁছার আভাস দেন।

বৈঠকে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সহকারী সদস্যসচিব ও উইমেন উইংয়ের ইনচার্জ নাসরীন সুলতানা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।