গত ১৮ অক্টোবর পশ্চিম তীরের রামাল্লাহতে ফিলিস্তিনদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয় | রয়টার্স ফাইল ছবি

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের মুখে দখল করা পশ্চিম তীরের একটি গ্রাম থেকে সব ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে জনশূন্য হয়ে পড়েছে ওয়াদি আল-সাইক নামের ওই গ্রাম। সেখানে বাড়িঘরে আগুন ও ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

ইসরায়েল ৭ অক্টোবর গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে। এর পাঁচ দিন পর গ্রামটিতে আসেন কয়েক ডজন ইসরায়েলি। এসব ইসরায়েলির মধ্যে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী, সেনা ও পুলিশ ছিল। গ্রামে ঢুকেই ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ফিলিস্তিনিদের এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ ও না ছাড়লে হুমকি দিয়ে যান তাঁরা।

ফিলিস্তিনিরা বলেছেন, সেদিন তাঁদের গ্রামে আসা ইসরায়েলিদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন স্থানীয় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী। তাঁদের মধ্যে অনেকের পরনে ছিল সেনাবাহিনীর উর্দি। সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িও এসেছিল।

তাড়িয়ে দেওয়ার এক সপ্তাহ পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাসিন্দাদের বাড়ি ফিরে মালামাল নিয়ে আসার অনুমতি দেয়। বাসিন্দারা গ্রামে ফিরে দেখেন, তাঁদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে।

পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের এ গ্রামের বাসিন্দা আবু বাশার বললেন, ‘মালামাল নিতে বাড়ি ফিরে দেখি বাড়ির সবকিছুতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভেড়া ও ছাগলের খাবারগুলোও ফেলে দেওয়া হয়েছে মাটিতে। আমাদের এখন আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।’

এএফপির সাংবাদিকেরা গ্রামটিতে গিয়ে দেখেন, বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আসবাবও ভেঙে ফেলেছে। শিশুদের পড়ার টেবিল, জানালার পর্দাসহ বাড়ির মালামাল পড়ে রয়েছে যত্রতত্র।

ওয়াদি আল–সাইকের পাশের গ্রামগুলোতেও উচ্ছেদ–আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, কখন তাঁদেরও তাড়িয়ে দেওয়া হয়, এ আতঙ্কে আছেন তাঁরা। এ কারণে রাতে ঘুমাতে পারছেন না।

গুলিতে আরও ৩ জন নিহত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা বেড়েছে। গতকাল রোববার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে পশ্চিম তীরের আরও তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজায় হামলা শুরুর পরে পশ্চিম তীরে অন্তত ১১৪ জন নিহত হলেন।