ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ইউরোপ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করছে: তথ্যমন্ত্রী

রাজধানীর কমলাপুরে শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | ছবি: বাসস

বাসস, ঢাকা: ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সভা-সমাবেশের নিষিদ্ধ ঘোষণা মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কমলাপুরে শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতার সমাপনী ও ‘কনসার্ট ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখে আশ্চর্য হলাম যে ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-শোভাযাত্রা বা কথা বলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

যাঁরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেন, তাঁদের দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এভাবে দমন করার পর তাঁরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার রাখেন কি না, এমন প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে, সেটি ইসরায়েলে হোক বা ফিলিস্তিনে হোক। কিন্তু হামাসের হামলার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করেছে, পুরো গাজা উপত্যকার ১১ লাখ মানুষকে জিম্মি করেছে, সেখানে খাদ্য, পানি, জ্বালানি সব সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যেটি যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমদ রতন।

রাজনৈতিক বৈরিতার সময় যাত্রা শুরু করে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ ৩৫ বছর ধরে দেশের শিশু-কিশোরদের মানবিক বিকাশে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মায়ের মমতায় এই সংগঠনকে ধারণ করেছেন, এ জন্য তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী অনূর্ধ্ব ১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। মোহাম্মদপুর দলকে হারিয়ে গেন্ডারিয়া দল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। পুরস্কার প্রদান শেষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সদস্যরা ‘কনসার্ট ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।