নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল রোববার মহানগর, জেলা ও উপজেলায় শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এ ঘোষণা দিয়েছেন। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আজ শনিবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের।
আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ছিল। সমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সেই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের এলাকায়ও হয়। পরে তা শান্তিনগরেও ছড়িয়ে পড়ে। বিজয়নগর ও শান্তিনগরে থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ চলে।
বিএনপি রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ায় সমাবেশ পণ্ড হওয়ার আগমুহূর্তে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপির ডাকা হরতালের বিরোধিতা করে ওবায়দুল কাদের সমাবেশে বলেন, নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না। হরতাল যে অস্ত্র, তা ভোঁতা হয়ে গেছে। এ অস্ত্র কোনো কাজ হবে না।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী একটি বাস ও দুটি পিকআপে হামলা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
হামলাকারীরা বাসটি ভাঙচুর করেন। ঘটনাস্থলে থাকা প্রথম আলোর প্রতিবেদক জানান, হামলা শুরু হলে বাস ও পিকআপ থেকে নেমে দৌড়ে স্থান ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই সময় তাঁদের লাঠি হাতে ধাওয়া দেন বিএনপির কর্মীরা। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিএনপির কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ বিকেল চারটার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওবায়দুল কাদের আজ বলেন, যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে, পুলিশকে হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যে নোংরা খুনি সন্ত্রাসী দল, তাদের সেই পুরোনো চেহারা আবার জাতির সামনে তুলে ধরেছে। এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’