থানাকে সেবা দেওয়ার প্রধান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে: আইজিপি

পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ঢাকা, ১৭ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: থানাকে পুলিশের সেবা দেওয়ার প্রধান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য কাজ করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে দিনব্যাপী পুলিশ সদর দপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আইজিপি এই নির্দেশ দেন।

সভায় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছে। পুলিশ দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

আসন্ন দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে আইজিপি বলেন, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে যাতে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন করা যায়, সে জন্য পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যেন গুজব সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে ক্ষেত্রেও সজাগ থাকতে হবে। মাঠপর্যায়ের সব সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক ও সমন্বয় বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।

পুলিশপ্রধান বলেন, থানাকে পুলিশের সেবা দেওয়ার প্রধান প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য কাজ করতে হবে। থানায় আসা মানুষ যেন থানা থেকে তাঁদের প্রত্যাশিত সেবা পেতে পারেন, সে জন্য পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে কোনো পুলিশ সদস্যের চিকিৎসা সুবিধার প্রয়োজন হলে তাঁর দেশে অথবা দেশের  বাইরে সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই পর্বে সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি—ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি–সংক্রান্ত মামলার তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। সভায় উপস্থাপিত বিভিন্ন মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচ্য দুই পর্বে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের তুলনায় গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দস্যুতা, খুন, দাঙ্গার ঘটনায় হওয়া মামলা কমেছে।

সভায় অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সভায় অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (লজিস্টিকস) মো. মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার, ডিআইজি (ফাইন্যান্স) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, সহকারী মহাপরিদর্শক (হেলথ, ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড পেনশন) মো. নাজমুল ইসলাম শাখা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি উপস্থাপন করেন।

ত্রৈমাসিক অপরাধ সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, সব মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও জেলার পুলিশ সুপারেরা অংশগ্রহণ করেন।