বগুড়া জেলার মানচিত্র |
প্রতিনিধি বগুড়া: ধর্ষণ মামলার এক বাদীকে আদালতে আনা-নেওয়া করতেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নাজমুল হাসান (৩৫)। বাদীকে ধরে মামলাটি আপস-মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য চাপ দেন আসামিরা। কিন্তু নাজমুল রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। ভয়ে তিন মাস সিএনজি নিয়ে রাস্তায় বের হননি নাজমুল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গত শুক্রবার রাতে একা পেয়ে নাজমুলকে হত্যা করে লাশ গুম করেন আসামিরা।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার অটোরিকশাচালক নাজমুল হাসান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. রকি (৩৪) নামের এক যুবককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্রেপ্তার রকি গাবতলী উপজেলার হাতীবান্ধা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। কাহালু উপজেলার মালঞ্চা এলাকা থেকে আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এর আগে গত রোববার বিকেলে গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের হাতীবান্ধা মধ্যপাড়া গ্রামের একটি ধানখেত থেকে অটোরিকশাচালক নাজমুল হাসানের লাশ উদ্ধার হয়। তিনি হাতীবান্ধা মধ্যপাড়ার জহুরুল প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় নাজমুলের স্ত্রী বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক মীর মনির হোসেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২-এর সদস্যরা আজ কাহালুর মালঞ্চা এলাকা থেকে রকিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে বগুড়া সদর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়। মামলার বাদী নিকটাত্মীয় হওয়ায় তাঁকে অটোরিকশায় আদালতে আনা-নেওয়া করতেন নাজমুল। বাদীকে ধরে মামলাটির আপস-মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য নাজমুলকে চাপ দেন আসামি উজ্জ্বল ও রকি। এতে নাজমুল রাজি না হওয়ায় তাঁকে হত্যার হুমকিও দেন। পরে পরিকল্পনামতো মামলার আসামিরা নাজমুলকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন সরকার বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর নাজমুল বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়িতে না ফেরায় স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। দুই দিন পর গত রোববার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে আনুমানিক ৩০০ মিটার দূরের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নাজমুলের শরীরে জখম ও আঘাতের চিহ্ন ছিল।