ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি নরসিংদী ও জয়পুরহাট: নরসিংদীর রায়পুরায় ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মঙ্গলবার ট্রেনে কাটা পড়ে এক নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. কিরন মিয়া (৪৫) ও মোমেছা বেগম (৬৮)। রেলওয়ে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করেছে।
রেলওয়ে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায়পুরা উপজেলার খানাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন–সংলগ্ন স্থান থেকে অটোরিকশাচালক কিরন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, গত রাতের কোনো এক সময়ে রেললাইন ধরে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। তবে কোন ট্রেনে তিনি কাটা পড়েছেন, তা জানা যায়নি। নিহত কিরন মিয়া রায়পুরার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
রায়পুরার স্থানীয় লোকজন বলছেন, আজ সকালে রেললাইন ধরে হাঁটার সময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ট্রেনে কাটা পড়া একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের মাধ্যমে ঘটনাটি খানাবাড়ী স্টেশনে জানানো হলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ ভৈরব রেলওয়ে থানায় খবর দেয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা সেখানে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত মো. কিরন মিয়া নামের এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছি আমরা। এরই মধ্যে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
এদিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আজ ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মোমেছা বেগম মারা যান। উপজেলার বাগজানা এলাকার রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোমেছা বেগম বাগজানা মাস্টারপাড়া গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের স্ত্রী।
বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরিফ হোসাইন বলেন, বৃদ্ধ মোমেছা দীর্ঘদিন ধরে মাথার সমস্যায় ভুগছিলেন। রাতে ঘুমিয়েছিলেন। শেষরাতের সময় বাইরে গেছেন, সেটা পরিবারের কেউ জানেন না। একপর্যায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। ভোরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই বৃদ্ধা মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।