বিদ্যুৎস্পৃষ্ট | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি চাটমোহর: পাবনার চাটমোহরে পুকুরপাড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে শামীম হোসেন (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে একইভাবে নিহত হয়েছেন হামিদুল ইসলামের (৪৫) এর ব্যবসায়ী। শুক্রবার কোনো এক সময় শামীম নিহত হন। আর শনিবার বিকেলে হামিদুল মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হামিদুল উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে। আর শামীম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার জামতৈল গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি কৈনুরা গ্রামে নানা শাজাহান আলীর বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল দশটার দিকে শামীম বিলে ঘাস কাটতে যান। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি।
নিহত হামিদুলের স্বজনদের বরাত দিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, হামিদুল বাড়ির পাশে পুকুরে মাছের চাষ করতেন। মাছ চুরি রোধে কৌশলে পুকুরপাড় দিয়ে বৈদ্যুতিক তার বেড়ার সঙ্গে জড়িয়ে রেখেছিলেন। শামীম ওই পুকুর পাড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত হন। শনিবার সন্ধ্যার আগে পুকুর দেখতে যান হামিদুল। তখন শামীমের মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করতে যান তিনি। এ সময় হামিদুলও বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান।
হামিদুলের ছেলে তানজিদ হোসেন বলেন, ‘শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমি গিয়ে দেখি আব্বা পুকুরপাড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আর শামীমের মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসছে। পরে আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। রোববার পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।