রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল চত্বরে আজ শনিবার বিকেলে এসব গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে সাতটি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি মাইক্রোবাস ও পাঁচটি মোটরসাইকেল রয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িগুলোতে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক পরে পরিবেশ শান্ত হয়।
পুলিশ লাইনস হাসপাতাল থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ দুপুরে দলটির মহাসমাবেশ ছিল। এ উপলক্ষে সেখানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীও সমবেত হয়েছিলেন। তবে দুপুরে ওই এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। তাতে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে।
এর পরপরই রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক বলেন, আজ বিকেল সোয়া ৩টার দিকে হাসপাতালের ফটকে ও হাসপাতাল চত্বরে রাখা পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের দুটি ও খিলগাঁওয়ের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি ছিটিয়ে বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল চত্বরে আজ শনিবার বিকেলে পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে গিয়ে প্রতিন্ধকতার মুখে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা সড়কে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসপাতালের ফটকে আগুন নেভায়। তবে এর আগেই দুর্বৃত্তরা পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি মাইক্রোবাসে পুড়িয়ে দেয়।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ সময় রোগী ভর্তিতে বিঘ্ন ঘটে।