বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ক্রীড়া প্রতিবেদক: এশিয়া কাপের ছন্দটা বিশ্বকাপেও নিয়ে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ ধর্মশালায় এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন। বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেছেন ৭৩ বলে ৫৭ রান। সব মিলিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁরই হাতে।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ আশানুরূপ ফল করতে না পারলেও মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত। লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ওপেন করতে নেমে করেছেন অপরাজিত ১১২ রান। বল হাতে নিয়েছিলেন ৪১ রানে ১ উইকেট, হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও ভালো করা মিরাজকে আজ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল—২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। এবার আসল বিশ্বকাপেও সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কি না।
জবাবে মিরাজ বলেছেন, ‘বড় টুর্নামেন্টে যদি অলরাউন্ড পারফর্ম করতে পারি, তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন হবে, দলের জন্যও হবে। অবশ্যই, সে (টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার) স্বপ্ন তো থাকেই।’
বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়ক বিশ্বকাপে গেছেন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে। অনেকেই মনে করেন, মিরাজই হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তী সাকিব। মিরাজ অবশ্য এ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে জানিয়েছেন, আজ তাঁর ভালো বোলিংয়ের পেছনে ভূমিকা ছিল সাকিবের পরামর্শেরও।
নিজেকে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে মিরাজকে। দিতে হচ্ছে নানা রকমের পরীক্ষা, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই বদলে যাচ্ছে মিরাজের ব্যাটিং অর্ডার। বলতে গেলে ওয়ানডেতে প্রায় সব পজিশনেই ব্যাটিং করে ফেলেছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে নিয়মিত পজিশন পরিবর্তন নিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘মানিয়ে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আমি নয়, প্রত্যেকেই মানিয়ে নিয়ে খেলছে। বড় কিছু অর্জন করতে গেলে মানিয়ে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব সময় তো আটে ব্যাটিং করেছি। সেখানে সব সময় বড় রান করার সুযোগ থাকে না। বল কম থাকে। তবে চেষ্টা করি, সুযোগ পেলে যেন ১০০ ভাগ দিতে পারি। এভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি।’
স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন পজিশনে খেলা মানে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। তবে সেটাকে খুব বড় বাধা মনে না করে মিরাজ সুযোগ কাজে লাগানোটাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চান, ‘আমি চিন্তা করি যেহেতু আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, আমার সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আটে নামার চেয়ে ওপরে যেকোন জায়গায় ব্যাটিং করা অবশ্যই ভালো। কারণ, আমি বিশ্বাস করি যে আমি ব্যাটিং পারি। সমস্যাও হয়, তবে সেটা আমি মাথায় নিই না। যেখানেই হোক না কেন, দলের প্রয়োজনে আমাকে ভালো পারফর্ম করতে হবে।’