প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় একদিনে দুই শিক্ষর্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মারা যাওয়া এক শিক্ষার্থীর নাম শাহিদ মাল (১৪) এবং অপরজনের নাম সুমনা খাতুন (১৬)। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার মধ্যরাতের কোনো এক সময় নিজের শয়নকক্ষে আড়ায় স্কুলছাত্র শহীদ মাল গলায় ফাঁস দেয়। আজ সকালে শহীদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সে ওই গ্রামের আমিরুল মালের ছেলে, দরগা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। উদ্ধার করা লাশটি বর্তমানে থানায় আছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

এদিকে কলেজ পড়ুয়া সুমনা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। 

সে ওই গ্রামের ইয়াসিন আলী মেয়ে, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকশী দিয়াড় বাঘইল গ্রামে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে একই কায়দায় ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজছাত্রী সুমনার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। রোববার গভীর রাতে সুমনা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের দাবি।

শিক্ষার্থী মৃত্যুর বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই মোত্তালেব বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে শিক্ষার্থী সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে আরও তদন্ত প্রয়োজন। তদন্ত শেষে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা সম্ভব হবে।