বিএনপির নেতা–কর্মীদের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামন থেকে দলটির নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঢাকা, ২৭ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামন থেকে দলটির নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাদের সরিয়ে দিতে থাকে পুলিশ। এর আগেই নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশ জল কামান ও রায়ট কার মোতায়েন করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের জলকামান ও রায়ট কার নয়া পল্টনে আসার পর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী চলে যেতে থাকেন। এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে আসেন। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে অবস্থানরত নেতা কর্মীদের চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এরপরও কিছু নেতা-কর্মী সেখানে অবস্থান করায় পুলিশ সদস্যরা তাদের সরে যেতে বলেন। পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ও হ্যান্ড মাইকে নেতা-কর্মীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।  

সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় নয়া পল্টন কার্যালয়ের পাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। পাশাপাশি বিএনপির কার্যালয়ের সামনেও কিছু নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়ে মিছিল করছিলেন।

এর আগে আজ দুপুর দুইটা থেকেই নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল ও স্লোগান দিতে থাকেন। শুরুর দিকে আগত নেতা-কর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য পুলিশ হ্যান্ড মাইকে অনুরোধ জানালেও তারা সেখান থেকে সরেননি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি কম ছিল। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মোতায়েনের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

এদিকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ডিএমপির সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন)  খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। যেহেতু সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের নয়াপল্টন থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে মঞ্চ তৈরি করতে নিষেধ করা হয়েছে।