নাটোরের সেই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ

হাইকোর্ট | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:  নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী ১১ নভেম্বর নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম নবীকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। পাশাপাশি ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনায় ব্যাখ্যা জানাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম নবীকে ১৮ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। সে অনুসারে তিনি আজ আদালতে হাজির হন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শুনানি নিয়ে ওই আদেশ দেওয়া হয়।

জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত শীর্ষক গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ গত ২৮ আগস্ট রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে বশির আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষে আইনজীবী গাজী মোস্তাক আহমেদ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করে জেলা শিক্ষা অফিস। ২২ আগস্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম নবীর সই করা এক চিঠিতে গুরুদাসপুর উপজেলার দড়িকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে মাসুদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ওই শিক্ষকের জবাবের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হলে তিনি সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।