মাদরাসার পক্ষ থেকে হিমেলের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পবিত্র কোরআন শরিফ মুখস্থ করে হাফেজ হতে একজন ছাত্রের সাধারণত ৪ বা ৫ বছর সময় লাগে। কিন্তু পাবনার ঈশ্বরদীতে মাত্র ১০৬ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ১৪ বছর বয়সী হাসানাত রহমান হিমেল। সে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান হাবিবের ছেলে ও জয়নগর দারুল উলুম কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার হিফজ বিভাগের ছাত্র।

শুক্রবার দুপুরে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অন্যান্য ছাত্রদের যেখানে এক পৃষ্ঠা কোরআন মুখস্থ করতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস লেগে যায়। সেখানে হিমেল একদিনে ৩ থেকে ২০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত মুখস্থ করতে পারে। মাত্র দুই-তিনবার পড়লেই তার কোরআন শরিফের ১৬ লাইন বিশিষ্ট একটি পৃষ্ঠা মুখস্থ হয়ে যায়। এটি প্রখর মেধা না থাকলে সম্ভব নয়।

হিমেলের বাবা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমার ছেলেকে একজন হাফেজ হিসেবে দেখতেই মাদরাসায় ভর্তি করিয়েছিলাম। আল্লাহ আমার দোয়া খুব দ্রুত কবুল করেছেন। এজন্য আল্লাহর প্রতি অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি।

মাদরাসার মুহতামিম বলেন, হিমেল মাত্র ১০৬ দিন অর্থাৎ ৩ মাস ১৬ দিনে পুরো কোরআন শরিফ মুখস্থ করতে পেরেছে যা বিরল কৃতিত্বের স্বাক্ষর। তবে এই বিস্ময়কর আলাদা প্রতিভা হিমেলের জন্য আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত ছাড়া কিছু নয়।

পাবনা জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরিফুল ইসলাম বলেন, পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা এত দ্রুত মুখস্থ করার ঘটনাটি কোন সাধারণ ঘটনা নয়।

হাফেজ হাসানাত রহমান হিমেল বলেন, মাত্র দুই তিনবার পড়লেই পবিত্র কোরআন শরিফের ১৬ লাইন বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা মুখস্থ হয়ে যায়। আমি প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করি।