বক্তব্য দেন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি রাজশাহী: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, একবার নির্বাচনের ট্রেন চলে গেলে আর হা-হুতাশ করে লাভ হবে না। কেউ আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। এমনি আপনাদের নেতা পলাতক হয়ে লন্ডনে আছে। নেত্রী তো বয়সে ও শারীরিক কারণে অসুস্থ্য হয়ে আছে। কে দেবে আপনাদের নেতৃত্ব? হাঁটুভাঙা বিএনপিকে জনগণ ক্ষমতায় আনতে চায় না, আনবেও না।
আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর রানীবাজার এলাকার নিজ রাজনৈতিক কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে, সেই পাঁয়তারার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সারাদেশে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রাজশাহীও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা কোনো সংঘাতে বিশ্বাস করি না। আমরা সংঘাতে যেতেও চাই না। ঢাকায় উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ হবে। আমরা রাজনৈতিক বক্তব্য রাখবো, নেতারা বক্তব্য দেবেন, সবাই শুনবে। যদি এর মধ্যে কোনো খবর আসে যে তারা কোথাও কোনো অস্থিরতা করেছে বা রাজশাহীতে কোনো কিছু করার পাঁয়তারা করছে, তাহলে দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তা রুখে দিতে হবে।
সমাবেশে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
তিনি বলেন, বিএনপি এই জাতীয় কর্মসূচি গত ৭ বছরে অন্তত ১০০ বার দিয়েছে। তাদের প্রত্যেকবার কথা থাকে ‘এইবার আলটিমেটাম দেওয়া হবে চূড়ান্ত এবং সরকারের পতন নিশ্চিত না করে ঘরে তারা ঘরে ফিরে যাবে না।’ তাই আমি প্রশ্ন করতে চাই তারা কি এতদিন রাজপথে শুয়ে ছিল? যদি বাড়িতেই না ফিরে তাহলে তারা রাতের বেলা কোথায় ছিল? সেটা পুলিশের খোঁজ নেওয়া দরকার। তারা আসলে রাতে কী করে বেড়ায়?
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বারবার বলেছেন, আমরা কারো দয়ায় ক্ষমতায় নাই। বিএনপি সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে, দেখুক। কিন্তু আমরা থাকতে তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হবে না ইনশাআল্লাহ। আগামী দিনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সেই তফসিল অনুযায়ী আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকবো এবং আবারো নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।
এ সময় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী
কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক
সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান
আজাদ হিমেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মতিহার থানা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহাবুবুল
আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম,
সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব
প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।