রাজশাহীর রাজতিলক সিনেমা হলে শুক্রবার ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখার জন্য দর্শকের ভিড় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি রাজশাহী: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা প্রদর্শনের প্রথম দিনেই হল ছিল হাউসফুল। বঙ্গবন্ধুর খোকা থেকে মুজিব হয়ে ওঠা এবং জাতির পিতা পরিণত হওয়ার সংগ্রামী ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে। এছাড়া স্থান পেয়েছে পাক হানাদার বাহিনির নির্মমতার ইতিহাস। এই সিনেমাটি দেখতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল রাজশাহীর রাজতিলক সিনেমা হলে।
সিনেমা হল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধারণা বাইরে এতো দর্শক হয়েছে। পুরো হলে ছিল দর্শকে ভরা। দীর্ঘদিন বন্ধের পরে চালু হয়ে এই প্রথম হাউসফুল হলো রাজতিলক। আগামী বেশ কয়েকদিন এভাবেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি বাজারে রাজতিলক সিনেমা হলে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি সম্প্রচারিত হয়। সিনেমাটি সম্প্রচারের আগেই সবটিকিট বিক্রি হওয়ায় খুশি কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাকে কেন্দ্র করে হলটি চিরচেনারূপে ফিরেছে।
এই সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে আসা রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েনউদ্দিন বলেন, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ অনেক সুন্দর সিনেমা। সবা বয়সের মানুষের জন্য এই সিনেমা। এই সিনেমায় সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবে। এসময় রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছবিটি সম্পূর্ণ উপভোগ করেন।
রাকিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু সবকিছুর বাইরে গিয়ে সবার এই ছবি দেখা উচিৎ। সরকারেরও দেখানোর ব্যবস্থা করা উচিৎ। দুইটি সিন মনে পরলে এখনো চোখ ভিজে যাচ্ছে। ‘বঙ্গমাতা যখন পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়াচ্ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে সেই সময় মনের অজান্তেই চোখ ভিজে গিয়েছে আমার। ‘১৫ আগস্টের দিনের অংশটুকু আমি নিতেই পারি নাই। ফিল্ম শেষ হওয়ার পরে ওই দৃশ্য দেখার পরে স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম। চোখ দিয়ে পানি পড়ছিলো।’
জনি ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে ইতিহাস জানতে এই ছবিটা সবার দেখা দরকার। কারণ এই ছবিতে বঙ্গন্ধুর জীবনী উঠে এসেছে। এই সিনেমা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রদর্শনির প্রয়োজন। এতে করে সবাই বঙ্গন্ধুকে ভালোভাবে জানতে পারবেন।
সাইফুল ইসলামের আরেক দর্শক বলেন, সিনেমাটাকে নিয়ে তারমধ্যে ভালোলাগা কাজ করেছিল। আমাদের হলে যখনই ফিল্মে জাতীয় সংগীত হয়েছে সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান করেছে। প্রথম টেইলার দেখে আমরা যারা হতাশ ছিলাম তাদের হতাশা কেটে যাবে আশাকরি।
কাটাখালি সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন সাগর জানান, আমি কখনই ভাবিনি। যে এতো সুন্দর একটি সিনেমা চলবে আমার হলে। ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখার জন্য দর্শকদের আগ্রহের কমতি ছিল না। এই সিনেমাকে কেন্দ্র করে শোগুলো হাউসফুল ছিল। আগামী বেশ কয়েকদিন এভাবেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।