বাংলার জনপদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন অতিথিরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি রাজশাহী: প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলার জনপদ’র পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। রোববার রাজশাহী নগরীর নানকিং দরবার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সাংবাদিক সংগঠনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য অনলাইন মিডিয়া আছে। এগুলোর মধ্যে থেকে কিছুসংখ্যক মিডিয়া জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে, যেটা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। তাই সুস্থ সমাজ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক’

তিনি আরও বলেন, শুধু রাজনৈতিক কনটেন্ট তৈরি করলেই হবে না। অর্থনৈতিক ভিত্তি স্থাপনে ভূমিকা রাখতে হবে। দশ লাখ রাজশাহীবাসীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপকার করতে হবে।

এসময় তিনি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন তৈরির পরামর্শ দিয়ে নৌবন্দর, বিমানবন্দর, ট্রেন ও বাস রাজশাহী থেকে ভারতে চলাচল করতে কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে তা খুঁজে বের করে প্রতিবেদন করতে বলেন। বন্ধ কারখানা এবং বিসিক শিল্পনগরী সমৃদ্ধ করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি সে বিষয়েও প্রতিবেদন করার কথা বলেন।  

বক্তব্য দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পথচলা, প্রাপ্তি ও পাঠকের চাওয়া নিয়ে বক্তব্য দেন বাংলার জনপদের প্রকাশক ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় বাংলার জনপদ জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে পরিণত হয়েছে। এজন্য আমি পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের পথচলায় যারা পাশে ছিলেন, সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এই অনলাইন সংবাদ মাধ্যমটি দেশ, জাতি ও রাজশাহীর মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাবে। পাশাপাশি সমাজের নানা অন্যায়, অনিয়ম-অসংঙ্গতি বস্তুনিষ্ঠুভাবে উপস্থাপন করবে।

এমসয় উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার উপদেষ্টা শাহীন আকতার রেণী, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল খালেক, নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রী কলেজর অধ্যক্ষ প্রফেসর কালাচাঁদ শীল, সম্পাদক ড. সাদিকুর রহমান এবং জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলীসহ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক।

এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেষে কেক কাটা হয়। সবশেষ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।