শফিকুল ইসলাম |
প্রতিনিধি জয়পুরহাট: ঘুষের টাকাকে ‘সম্মানী ও পারিশ্রমিক’ বলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালক (সা.প্রশা.) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাঁকে নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
ওই প্রজ্ঞাপনে সারা দেশের ১৮ জনকে বদলি করা হয়। এর মধ্যে তালিকার ৭ নম্বরে শফিকুল ইসলামের নাম আছে। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্ণে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্কুল-মাদ্রাসায় কর্মচারী নিয়োগ ও অনলাইনে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ফাইল পাঠানোর জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষকেরা। স্কুল-মাদ্রাসায় কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে তাঁকে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়। এর কম হলে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্টদের কটু কথা বলেন। এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির ফাইল পাঠাতে তিনি নিজের বিকাশ হিসাবে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত চেয়ে নেন।
শফিকুল ইসলাম স্কুল-মাদ্রাসায় কর্মচারী নিয়োগ ও ফাইল পাঠানোর টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এই টাকা ঘুষ নয়, সম্মানী ও পারিশ্রমিক। কর্মচারী নিয়োগে সম্মানী ও অনলাইনে এমপিওভুক্তির ফাইল পাঠাতে পারিশ্রমিক নিই।’ এ নিয়ে অনলাইনে “আক্কেলপুরের শিক্ষা কর্মকর্তা বললেন, ‘এই টাকা ঘুষ নয়, সম্মানী ও পারিশ্রমিক’” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।