বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার অনেক দেশের তুলনায় ভালো: তথ্যমন্ত্রী

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বাসস, ঢাকা: বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে আইএমএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হতে পারে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক বৈঠকে প্রকাশিত আইএমএফের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়। তাদের পূর্বাভাস বলছে, ২০২৪ সালেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে, তবে ২০২৮ সালে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে অনেক কথা হয়, কিন্তু আসলে পৃথিবীর সব দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। অবশ্যই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সরকার চেষ্টা করছে নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে, ৫০ লাখ মানুষকে কম টাকায় চাল বিতরণ করে, আরও ১ কোটি মানুষকে নানা ধরনের খাদ্যশস্য বিতরণের মাধ্যমে কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে। যে কারণে বাংলাদেশে হাহাকার নেই।’

বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীকে গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কি বলতে চাচ্ছেন কারও বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলেও তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। ওয়ারেন্ট থাকলে তো গ্রেপ্তার হবেই। ওয়ারেন্ট থাকলে তো আওয়ামী লীগ নেতাও গ্রেপ্তার হয়। যার বিরুদ্ধে ভাঙচুরের, অগ্নিসংযোগের কিংবা অন্য কারণে ওয়ারেন্ট আছে, পুলিশ তো তাকে গ্রেপ্তার করবে, এটিই স্বাভাবিক। এটিই আইনি প্রক্রিয়া, এটিই আইনি ভাষা। তারা যে আইন-আদালত মানে না, বিচার মানে না, সেটিরই প্রমাণ হচ্ছে এই প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য।’

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্রুত শাস্তি দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে।