হাবিবুর রহমান | ছবি: সংগৃহীত |
তদন্ত কমিটির প্রধান স্নিগ্ধ আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম ও ডিস্ট্রিক্ট ইনটেলিজেন্স অফিসার-১ (ডিআইও) জি এম সামসুন্নূর। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলামের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশের সুরতহাল করেন।
হাবিবুরের বাবা আবদুল কুদ্দুসের দাবি, তাঁর ছেলেকে ডিবি তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। নির্যাতনে জড়িত ডিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হবে। লাশ দাফন শেষে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হাবিবুর রহমান বগুড়া আদালতের আইনজীবী সহকারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বগুড়া আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মঞ্জুর সহকারী ও সম্পর্কে ভাগনে। তাঁর বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া দামোরপাড়া গ্রামে।
জেলা ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হাবিবুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে, একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
হাবিবুরের বাবা আবদুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে ডিবি হেফাজতে হাবিবুর মারা যান। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গেলেও পুলিশ লাশ দেখতে না দিয়ে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে তালা লাগিয়ে দেয়। লাশ দেখতে রাতভর দফায় দফায় আকুতি জানালেও পুলিশ সায় দেয়নি। তিনি বলেন, হাবিবুর সুস্থ ছিল। তার কোনো হৃদ্রোগ ছিল না। গতকাল আদালতে স্বাভাবিকভাবে কাজ করেছে। বাড়ি ফেরার সময় আদালতের ফটক থেকে তাকে তুলে নেয় ডিবি। এরপর কার্যালয়ে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতালে ভর্তি করে। এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন আবদুল কুদ্দুস।
বগুড়া জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি আবু তৈয়ব হুদা বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করা হলে সমিতির পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হবে। বিচারের দাবিতে খুব শিগগির আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।