বগুড়ায় হরতালের আগেই ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ |  ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি বগুড়া: বিএনপি ও জামায়াতের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার পর বগুড়ার নন্দীগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

শনিবার রাতে পৌর সদরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত এবং বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে বঙ্গবন্ধু চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছে।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার বিকেলে সেখানে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠন। সন্ধ্যার আগেই সমাবেশ শেষ করে দলের নেতাকর্মীরা চলে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। সেখানে জনসাধারণের ভিড় থাকলেও কেউ হতাহত হননি। তবে পথচারী ও স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। হরতালের আগেই ককটেল বিস্ফোরণ হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ আলামত হিসেবে উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন ও ভীতি সৃষ্টি করার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে। হরতালের নামে আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি, অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সরকার বিরোধী যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিরোধ করা হবে। সাধারণ জনগণকে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে।’