গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের বক্সে ভাঙচুর করে আগুন দেন শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি গাজীপুর: গাজীপুরের সফিপুর এলাকার জেলা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন উত্তেজিত পোশাকশ্রমিকেরা। এর আগে চন্দ্রা এলাকার অপর একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করেন শ্রমিকেরা।
এ ছাড়া সফিপুর এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে হামলা চালায় উত্তেজিত শ্রমিকেরা। উপজেলার চন্দ্রায় একটি কারখানার সামনে ইলেকট্রনিক পণ্যের শোরুম ও একটি পিকআপেও আগুন দেয় শ্রমিকেরা।
এর আগে সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বাজার এলাকায় অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়। উত্তেজিত শ্রমিকেরা ফাঁড়ির ফটক, কার্যালয়ের কাচ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেন।
গাজীপুরের কালিয়াপুর উপজেলার পশ্চিম চন্দ্রা এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি শোরুম পুড়িয়ে দেওয়া হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
স্থানীয়রা লোকজন জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক ও চন্দ্রা এলাকার আশপাশের শ্রমিকেরা বেতন বাড়ানো দাবিতে টানা অষ্টম দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন। বেলা ১১টার দিকে সফিপুরের অবস্থিত গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের বক্সে ভাঙচুর করে আগুন দেন তাঁরা। এরপরই উত্তেজিত শ্রমিকেরা চন্দ্রা এলাকায় ট্রাফিক বক্সে ভাঙচুর করেন। এর আগে শফিপুর এলাকার তানহা হাসপাতাল নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভাঙচুর করা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর শ্রমিকেরা হামলা চালিয়ে কালিয়াপুর উপজেলার পশ্চিম চন্দ্রা এলাকায় ওয়ালটনের (ইলেকট্রিক পণ্যের) একটি শোরুম ও একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে শোরুমে থাকা মালামাল ছাই হয়ে যায়। আগুনের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বেলা দেড়টা পর্যন্ত শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, শ্রমিকেরা মহাসড়ক থেকে আপাতত সরে গেছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২–এর সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, পোশাকশ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রমিকদের ভাঙচুর না করে শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।