আগুনে বাসটির তিনটি আসন পুড়ে যায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীতে বিআরটিসি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী চেরাগ আলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে বাসটির তিনটি আসন পুড়ে যায়। তবে যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে পড়েন। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
আজ রোববার সারা দেশে বিএনপির ডাকা হরতাল চলছে। সড়কে যানবাহন ও যাত্রী—দুটোই কম। সড়কে মিছিল নিয়ে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের লোকজন। তবে এখন পর্যন্ত সেভাবে বিএনপির কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। এর মাঝেই হঠাৎ বাসটিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় ব্যক্তি ও বাসের চালক সূত্রে জানা যায়, বিআরটিসি পরিবহনের (সুরমা-২) একটি বাস গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে যাচ্ছিল ঢাকার মহাখালীতে। বাসটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে এসে থামে টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায়। এ সময় বাসে কয়েক যাত্রী ওঠেন। বাসটির নিচতলায় ৬-৭ জন এবং দোতলায় ছিলেন ৩-৪ জন যাত্রী। বাসটি যাত্রী ওঠানো শেষে একটু সামনে যেতেই হঠাৎ ‘আগুন, আগুন’ বলে চিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। এ সময় বাসের কয়েকটি আসনে আগুন ধরে যায়। আগুন বড় হওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। যাত্রীরাও নেমে যান নিরাপদে।
বাসের চালক মো. শামিম বলেন, ‘বাসে তেমন যাত্রী ছিল না। আমি চেরাগ আলী থেমে কিছু যাত্রী উঠাচ্ছিলাম। যাত্রী ওঠানো শেষে একটু সামনে যেতেই হঠাৎ যাত্রীরা আগুন বলে চিৎকার শুরু করে। যাত্রীরা দৌড়ে নেমে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন কিশোর ছেলে হঠাৎ বাসের দোতলা লাফিয়ে নেমে দৌড় দেয়। আমাদের ধারণা, ওই ছেলেই আগুন দিয়েছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়।’
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের নিচতলায় আগুনের চিহ্ন নেই। তবে দোতলায় দুই তিনটি আসন পুড়ে গেছে। বাসে যত্রতত্র পড়ে আছে পানি। বাসটিকে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. মেহেদি হাসান বলেন, কে বা কারা বাসটিতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।