বাঘায় ডেঙ্গুতে প্রভাষকের পর এবার মারা গেলেন কলেজের করণিক

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক কলেজের প্রভাষকের পর মারা গেছেন আরেক কলেজের করণিক। মাত্র তিন দিনের জ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যাওয়া করণিকের নাম আবদুল লতিফ (৩৯)। তাঁর বাড়ি উপজেলার বিনোদপুর পারসাওতা গ্রামে। তিনি চারঘাট উপজেলার রাওথা ডিগ্রি কলেজের করণিক ছিলেন।

এর আগে ১৬ অক্টোবর মারা যান বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক হাসনা বানু পারভীন (৪৭)।

আবদুল লতিফ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় মারা যান। শনিবার সকালে ডেঙ্গুসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তিন দিন ধরে জ্বর ও পাতলা পায়খানায় ভুগছিলেন আবদুল লতিফ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ থাকায় গতকাল দুপুরে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

এর আগে ১৬ অক্টোবর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষক হাসনা বানু পারভীনের মৃত্যু হয়। হাসনা বানু বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও তুলশিপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের স্ত্রী ছিলেন। তিনি কিছুদিন আগে জ্বর অনুভব করছিলেন। পরে পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ জুলাই এই হাসপাতালে এ মৌসুমের প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা যান। ওই রোগীর বাড়িও ছিল বাঘা উপজেলায়। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে রামেক হাসপাতালে ১৭ রোগীর মৃত্যু হলো। এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ২১০ জন রোগী। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ১৮১ জন হাসপাতালে ভর্তি। এর মধ্যে ১৭৭ জনই স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮৬ জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৯ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬ জন।