নওগাঁয় আত্রাই নদ ও ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে গ্রামে। রানীনগরের গোনা এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি বগুড়া: নওগাঁর আত্রাই ও রানীনগরে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টার পরিমাপে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর লিটন ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদের জোতবাজার পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, মহাদেবপুর পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, রেলস্টেশন পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার এবং শিমুলতলী পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পাউবো।
এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে লোকালয়ে প্রচণ্ড বেগে পানি ঢুকছে। এতে করে রানীনগর উপজেলার গোনা, কাশিমপুর, সদর, মিরাট, বড়গাছা এবং আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের অনেক গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু জায়গা ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে উঠতি আমন ও আউশ ফসল নিয়ে কৃষকেরা চিন্তায় পড়েছেন। বিল ও খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকার ধান ও সবজিখেত এখনো পানির নিচে।
রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের কৃষক জাহিদুর রহমান বলেন, যে হারে খাল–বিলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আমন ফসল রক্ষা করা কঠিন হবে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে নিচু এলাকার বেশির ভাগ জমির ধান তলিয়ে যাবে।
নওগাঁ পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন, বৃষ্টি শুরুর আগের কয়েক দিন নদীর পানি উল্লেখযোগ্য হারে কমার ফলে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল। প্রধান দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কিন্তু গত সোমবার শুরু হওয়া বিরামহীন বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে ছোট যমুনা ও আত্রাই নদের পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।