নির্বাচনকেন্দ্রিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হলে দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল |ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের আগে-পরে যাতে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সহিংসতা হলে তার দায়দায়িত্ব তারাই (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) বহন করবে।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্ব সংগঠনটির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারা ইসিকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। এতে নির্বাচনের আগে-পরে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সংখ্যালঘু–অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারসহ বেশ কিছু দাবি জানানো হয়েছে।

হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিরা বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সহিংসতা হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য তাঁরা ইসির কাছে আবেদন রেখেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ ক্ষেত্রে ইসির যা করণীয়, তা যেন করা হয়।

সিইসি বলেন, ইসি বিষয়টিকে খুব গুরুত্বসহকারে নিয়েছে। বিষয়টি দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টি যখন সংশ্লিষ্ট হবে, তখন ইসির সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। ইসি চিঠি দিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবহিত করবে, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সহিংসতা না হয়।

দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সহিংসতা না হয়, সে জন্য ইসি কঠোরভাবে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দেবে বলে জানান হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এটা (সাম্প্রদায়িক সহিংসতা) কখনোই কাম্য নয়। এটা অমানবিক একটা বিষয়। এ ধরনের অমানবিকতাকে ইসি কখনোই প্রশ্রয় দেয় না।