ওসি নাছিম আহমেদ | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি নাটোর: নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিকের মুঠোফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে থানায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ওসি নাছিম আহমেদ দাবি করেছেন, অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ করায় সাময়িকভাবে তাঁর ক্যামেরা রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরে ফেরত দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম দেবাশীষ কুমার সরকার। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নাটোর প্রতিনিধি। প্রতিবেদনের প্রয়োজনে ওসির বক্তব্য নিতে গেলে তাঁর একটি মুঠোফোন ও ক্যামেরাপারসনের কাছ থেকে একটি ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক দেবাশীষ কুমার সরকার বলেন, তিনি ক্যামেরাপারসন সজিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১১টার দিকে সদর থানায় যান। প্রতিবেদনের প্রয়োজনে তিনি থানার একটি ফুটেজ নেন এবং একজন সন্ত্রাসীর ব্যাপারে ওসির বক্তব্য জানতে চান। তখন ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর একটি মুঠোফোন ও একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। এ সময় ওসি ক্যামেরাপারসন সজিবুর রহমানকে ধাক্কাও দেন। পরে তিনি মুঠোফোন ও ক্যামেরা থানার উপপরিদর্শক শাহাদৎ হোসেনের কাছে রেখে বাইরে চলে যান। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) শরিফুল ইসলাম থানায় এসে মুঠোফোন ও ক্যামেরা ফেরত দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিক দেবাশীষ আমার অনুমতি না নিয়ে গোপনে কথোপকথনের ভিডিও ধারণ ও ভয়েস রেকর্ড করেন। বুঝতে পেরে আমি তাঁকে সেটা ডিলিট করার অনুরোধ করেছি। তিনি কর্ণপাত করেননি। তাই এক এসআইকে সেটা ডিলিট করতে বলে আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান জানাতে চলে যাই।’

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে পুলিশ সুপার সারদা পুলিশ একাডেমিতে আছেন। তিনি নাটোরে ফিরলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।