দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর–৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। শুক্রবার বিকেলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি গুরুদাসপুর: নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় নেমেছেন গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। শুক্রবার বিকেলে গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ পরিবারে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। মহান স্বাধীনতা ও দলের পেছনে তাঁর বাবা-দাদাদের সংগ্রামী ভূমিকা ছিল। তিনিও দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে স্থানীয় রাজনীতিতে অবদান রাখায় গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও গ্রুপিয়ের কারণে তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। এরপরও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রচারবিমূখ মানুষ তিনি। দল ও মানুষের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। গত ৩০ আগস্ট নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ে তফসিল ঘোষণা করে। ফলে অন্য প্রার্থীরা উপনির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার সুযোগ পেলেও তিনি পাননি। এ কারণে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রচারমাধ্যমে তাঁর নাম যথাযথভাবে আসেনি। এ জন্য উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি তিনি।

গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি আরও বলেন, বিগত দিনের প্রচারবিমুখতা তিনি গভীরভাবে উপলব্ধি করছেন। সময়স্বল্পতা ও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে উপনির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে চান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম, হাজী রজব আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান প্রমুখ। এ সময় মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহিদুল ইসলামের অনুসারীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদুলের সরবরাহ করা জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা গেছে, জাহিদুল ১৯৭৬ সালে পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি, গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত থেকে অন্তত ১৮টি সেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল কুদ্দুসের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রতীক বরাদ্দ ২৫ সেপ্টেম্বর ও আগামী ১১ অক্টোবর ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা। ওই আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। নির্বাচনে কয়েকজন মনোনয়নপত্র তুললেও সিদ্দিকুর রহমান ছাড়া কেউ জমা দেননি।