ঐতিহ্যের নৌকা বাইচ | ফাইল ছবি |
প্রতিনিধি পাবনা: আজ বুধবার নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। পর দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ইছামতি নদীতে নৌকা বাইচের ফাইনাল দেখার জন্য সাঁথিয়া উপজেলার উদ্দেশে রওনা দেবেন। খেলা দেখে বিকাল ৫টায় পাবনার উদ্দেশে সাঁথিয়া ত্যাগ করবেন। বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে সাঁথিয়ায় ইছামতি নদীতে শুরু হয়েছে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। গত ২১ সেপ্টেম্বর এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। প্রতিযোগিতার ফাইনালে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি।
এদিকে, ইছামতির এবারের নৌকা বাইচের ফাইনালে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত হবেন- এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বইছে আনন্দের হাওয়া। তার আগমনকে ঘিরে গোটা উপজেলাজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইছামতী নদীর কোনাবাড়িয়া থেকে বোয়াইলমাড়ি পর্যন্ত প্রতিযোগিতার আয়োজনের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আগমনকে ঘিরে বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডে থাকছেন পাশের উপজেলার বাসিনা ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তার সঙ্গে থাকছেন আওয়ামী লীগের জেলা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা তৎপর রাষ্ট্রপতির অবস্থানকে নির্বিঘ্ন করতে।
সবমিলিয়ে সাঁথিয়া উপজেলাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের উপজেলাগুলোতেও। বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকা বাইচ এলাকা পরিদর্শনের জন্য জনসাধারণ আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কলেজছাত্রী হুমাইরা বারী নিহন জানান, রাষ্ট্রপতি তার এলাকায় আসবেন- এটা বিশ্বাসই হচ্ছে না। পরিবারের সবার সঙ্গে ফাইনাল খেলা দেখতে যাবেন তিনি। এটা হবে তার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা।
অনুষ্ঠানের আয়োজক সাঁথিয়ার পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু বলেন, সাঁথিয়ায় এখন ঈদের চেয়েও বেশি আনন্দ বিরাজ করছে। এ অঞ্চলে রাষ্ট্রপতির আগমন এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এখানকার প্রায় বাড়িতে দূরদূরান্তের বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসছেন। সাজ সাজ রব ঘরে ঘরে।
তিনি বলেন, নৌকা বাইচ এলাকার দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার। দুই পাড় দিয়ে মোট তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানুষ খেলাটা উপভোগ করতে পারবেন।
সাঁথিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপতির আগমনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বিভিন্ন স্তরের বাহিনী কাজ করছে। সঙ্গে আমরাও আছি। সবকিছুই নির্বিঘ্নভাবে করতে পারবো আশা করি।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য- জাতিকে আনন্দের মধ্যে রেখে স্মার্ট বাঙালি হিসেবে গড়ে তোলা। সব ক্ষেত্রে অপরাধমুক্ত যুব সমাজ তৈরি করা। যুব সমাজকে আনন্দ উল্লাসের মধ্যে রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে। সেইসব লক্ষ্যেই এই আয়োজন।