রাজশাহীতে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহীতে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে এ ঘটনায় মোহনপুর থানায় ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই ছাত্রলীগের নেতা।

ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. সজীব আলী (২৮)। তিনি উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের খায়রা গ্রামের মাহাবুর রহমানের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম আশরাফুল ইসলাম (৪৩)। তিনি মৌগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মৌগাছি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী নগরে। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মেরাজুল ইসলামের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা সজীব আলী বাস ভাড়া করে নেতা-কর্মী নিয়ে যান। তার পর থেকে যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলামসহ তাঁর লোকজন হুমকি দিতে থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মোহনপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মী নিয়ে যাওয়ার সময় ত্রিমোহনী মোড়ে পৌঁছালে আশরাফুল ইসলাম তাঁর লোকজন নিয়ে সজীবকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। পরে সজীব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

সজীব বলেন, যুবলীগের সম্মেলনে তিনি মেরাজুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন। আর একই পদে মোহনপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন প্রার্থী ছিলেন। তিনি কেন ইকবালকে বাদ দিয়ে মেরাজুলকে সমর্থন করছেন, এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পরে বৃহস্পতিবার মারধর করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করলেও আজ পর্যন্ত কাউকে শাসিয়ে কথা বলেননি। ওই দিন ত্রিমোহনীতে এ ধরনের কিছুই হয়নি। তিনি খুব নরম স্বভাবের মানুষ—এটা এলাকার সবাই জানে। ওই ছাত্রলীগ নেতাই উচ্ছৃঙ্খল। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

কেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেন ওই ছাত্রলীগ নেতা—এ প্রশ্নে আশরাফুল বলেন, তিনি উপজেলার মূল স্রোতের রাজনীতির সঙ্গে আছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকার, তাই তিনিও নৌকার এবং তাঁর সমর্থক। সামনে যিনি নৌকা পাবেন, তাঁর হয়ে নৌকার কাজ করবেন। মূল ধারার রাজনীতি করার কারণে তাঁকে এভাবে ফাঁসানো হতে পারে বলে তাঁর দাবি।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মোহনপুরের ত্রিমোহনীতে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন বিষয়টি।