যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক

স্যার জন হুইটিংডেলের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | ছবি: তথ্য মন্ত্রণালয়

বাসস, ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধসহ গণমাধ্যমবিষয়ক সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে যুক্তরাজ্যের মিনিস্টার অব স্টেট ফর মিডিয়া, ট্যুরিজম অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিজ স্যার জন হুইটিংডেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

লন্ডনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের নিয়ে  বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনের পার্লামেন্টারি সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স ফোরাম (পিএসআইএফ) সম্মেলনে যোগ দিতে তথ্যমন্ত্রী সেখানে রয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমবিষয়ক মন্ত্রী স্যার জন হুইটিংডেলের দপ্তরে তাঁর সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে জন হুইটিংডেল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়ানো ও অপপ্রচার মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের কর্মপদ্ধতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে গত মে মাসে একটা আইন পাস হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডারদের সে দেশে নিবন্ধিত  হতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ সময় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং জানান বাংলাদেশে এখনো এ আইন না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিবন্ধিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন করার জন্য বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তারা নিবন্ধন করেনি, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক নিউজ এবং গুজব ছড়ানো প্রতিহত করার ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায়।

মন্ত্রীদ্বয় এ সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, নিউ মিডিয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ দুই দেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।

এদিন বিকেলে মন্ত্রী লন্ডনের কার্লটন ক্লাবে ‘কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়া’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক লর্ড রামি রেঞ্জারের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বৈঠকগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।