ঈশ্বরদীতে সম্পত্তির ভাগ চাওয়ার তৃতীয় লিঙ্গের সহোদরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত!

প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে বাবার সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় তৃতীয় লিঙ্গের শরিফুল ইসলাম সুইটিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে তার সহোদর ভাই ভাবী ও সৎ মা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় ঈশ্বরদী পৌরসভার পাতিলাখালি নতুন পাড়া এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুইটি ওই এলাকার সাবেক পুলিশ সদস্য কামরুল ইসলামের সন্তান।

স্থানীয়রা জানায়, ৬ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ সন্তান সুইটি। জন্মের পর সবকিছু ঠিক থাকলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে সুইটির শারীরিক পরিবর্তন হতে থাকে। আর সেই পরিবর্তই তাঁকে তৃতীয় লিঙ্গের কাতারে দাঁড় করায়। তৃতীয় লিঙ্গের হওয়ায় সুইটির ওপর পারিবারিক অত্যাচার শুরু হয়। অনেকবার তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তাঁর মেজো ভাই।

সুইটি জানান, নানা সময়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে তার মেজো ভাই। চালিয়েছেন অসহ্য নির্যাতন। কিন্তু প্যারালাইজড হয়ে পড়ে থাকা অসুস্থ মায়ের একমাত্র অবলম্বন সুইটি সকলের দেয়া যন্ত্রণাকে সহ্য করে গেছেন। অতঃপর বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি, টাকা-পয়সা সব কিছু থেকে বঞ্চিত সুইটির একমাত্র চাওয়া ছিল অসুস্থ মায়ের সাথে থাকার মত একটি ঘর। সেই ঘর চাওয়াকে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার সকালে সুইটিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন সহোদর শরিফুল ইসলাম বিপ্লব, ভাবি জেসমিন এবং সৎ মা আনজু ইসলাম।

তিনি আরও জানান, তার উপরে এমন অমানবিক অত্যাচার এই প্রথম নয়। মাঝেমধ্যেই মারধর করে। শারীরিক ভাবে নানা অত্যাচার চালায়। এসকল বিষয়ে তিনি এলাকার প্রধানদের কাছে জানিয়েও বিচার পাননি।

এ সকল বিষয়ে সহোদর ভাই, ভাবী ও সৎ মায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তা সম্ভব হয়নি৷ তাদের বাড়িতে গেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম সুইটি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।