শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে আহত মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল  ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে প্রাইভেট কারের আরোহী শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় মারুফ বিল্লাহ ওরফে হিমেল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার পুরান ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাঁর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি পুলিশ।

পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, মারুফ বিল্লাহ ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁকে কেউ একজন ডেকে এনেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। তাঁকে আগামীকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লেগেছিল মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। কাজ শেষে তিনি গুলশানের অফিস থেকে ভাড়ার মোটরসাইকেলে মতিঝিলের আরামবাগের বাসায় ফিরছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে ওই রাতেই তাঁকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত শনিবার তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। আজ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি মারা যান।

ঘটনার পর থেকেই পুলিশ বলছে, তাদের ধারণা, শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের লোকজন। ওই গুলি লেগেছিল ভুবনের মাথায়। কয়েক মাস আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিনে মুক্ত হন। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈদ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাঁদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তাঁরা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি।

এ ঘটনায় ভুবন চন্দ্র শীল গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরদিন তাঁর স্ত্রী রত্না রানী শীল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাত-আটজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় এই প্রথম একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।