তিন দিনের টানা ছুটিতে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড়। কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট, ২৮ সেপ্টেম্বর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঢাকার বাইরে ঘুরতে গেছেন। পর্যটন এলাকাগুলোয় মানুষের চাপ বেড়েছে। এতে ছুটির প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরী অনেকটাই ছিল ফাঁকা। রাস্তায় তৈরি হয়নি বড় ধরনের যানজট।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তারপর শুক্র ও শনিবারও সরকারি ছুটি। রাস্তায় চাপ কম থাকায় বাসে করে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে কারওয়ান বাজার ৬ কিলোমিটারের পথ ২৫ মিনিটে আসেন একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ‘কর্মদিবসে এ পথ আসতে সাধারণত আমার গড়ে এক ঘণ্টা লাগে। আজ আধা ঘণ্টারও কম সময় লেগেছে।’

ছুটি সামনে রেখে গতকাল বুধবার অনেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন। ফলে রাজধানীর সড়কগুলোয় গতকাল বিকেলে মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেশি ছিল বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, ছুটির কারণে অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। আবার অনেকে বাসায় ছুটি উপভোগ করছেন। এ কারণে রাস্তায় তুলনামূলক মানুষ কম, যানবাহনও কম।

সরকারি চাকরিজীবীরা তিন দিন ছুটি পেলেও অনেক বেসরকারি চাকরিজীবীর ছুটি দুই দিন। ফলে শনিবার থেকে ঢাকায় আবার যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ছুটি পেয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম ঘুরতে গেছেন একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। আজ তাঁরা চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মহামায়া লেক ঘুরে বেড়িয়েছেন। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘পরিবার নিয়ে সারা দিন আজ ঘুরে বেড়িয়েছি। খুব ভালো সময় কাটছে।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক দুরবস্থা, রাজনৈতিক অস্থিশীলতা, কত টেনশন; মানুষ কিন্তু ঘোরাঘুরির মধ্যে আছে।’

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, সুন্দরবনসহ দেশের পর্যটন এলাকাগুলোয় এই ছুটি উপলক্ষে চাপ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টে এক লাখের মতো পর্যটক আছেন। এর বাইরেও অনেকে এসেছেন, যাঁরা হোটেলে-মোটেলে অবস্থান করবেন না। অনেকে চলে যাবেন, আবার অনেকে রাতে ঘোরাঘুরি করবেন বা বাসে থাকবেন। এমন পর্যটকের মানুষের সংখ্যাও ২০ থেকে ২৫ হাজার।