আলু | ফাইল ছবি

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: সরকারের পক্ষ থেকে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও পাবনার ঈশ্বরদী বাজারে এখনো সরকারি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কেজি আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে শহরের বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়।

শহরের বাজার ঘুরে জানা গেছে, সাধারণ ক্রেতাদের নির্ধারিত দামের পরিবর্তে অতিরিক্ত দাম দিয়ে আলু কিনতে হচ্ছে। যদিও বাজারে পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোয় আলুর কোনো সংকট দেখা যায়নি।

আজ বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, কাঁচাবাজারে সাধারণ ক্রেতাদের বাড়তি চাপ। সব ধরনের শাকসবজির দাম তুলনামূলক বেশি। বাজারে আসা ক্রেতাদের সবাই কম বেশি আলু কিনে বাজারের ব্যাগে ভরছেন। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা অনুসারে আলু না কিনতে পারলেও ১ কেজির নিচে কেউ আলু কিনছেন না। এসব বাজারে প্রতি কেজি আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পৌর সুপার মার্কেটের কাঁচা বাজার করতে আসেন চাকরিজীবী আমিনুল হক। আলু দাম নিয়ে প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, ‘৪২ টাকা কেজি দরে আলু কিনলাম। যেই আলু কয়েক মাস আগেও ১৫ টাকা দিয়ে কিনেছি, সেই আলুর দাম এখন নাগালের বাইরে। শুধু আলু নয়, সব ধরনের শাকসবজির দাম বেশি। এক হাজার টাকায়ও বাজারের ব্যাগ ভরে না। খুব কষ্টে আছি, ভাই।’

এই বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, ‘আলু উৎপাদন এবার কম, তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তা ছাড়া চাষিরা যদি কম দামে আলু না দেন, তাহলে আমরা কম দামে বিক্রি করব কীভাবে? সরকার নির্ধারিত দামে আলু আমরা কিনতেও পারিনি, তাই ওই দামে বিক্রি সম্ভব নয়।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি এম রাহসিন কবির জানান, ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে হিমাগার পরিদর্শন করেছেন। কিছু ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে।’