বিএসআরআই উদ্যোগে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কর্মশালা

প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অতিথি ও আয়োজকেরা। সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: 'জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২৩—২০২৪ বাস্তবায়নে প্রথম কোয়ার্টারে অংশীজনের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ব্যবহার' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকালে সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বাজেট ও মনিটরিং অধিশাখা) নাজিয়া শিরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সম্প্রসারণ—২ অধিশাখা) শাহানারা ইয়াসমিন লিলি ও উপসচিব (উপ শাখা গবেষণা—১) মোঃ মাসুম বিল্লাহ।

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ওমর আলীর সভাপতিত্বে ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুসরাত জাহান উপমার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন পরিচালক ড. ইসমত আরা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের কৃষি প্রকৌশল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিসুর রহমান। 

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কর্মশালায় সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্মাণ ইতিহাস, আখের প্রযুক্তি, ব্যবহার ও জাত উদ্ভাবন সম্পর্কে নানা তথ্য উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কীটতত্ত্ব বিভাগ) ড. মোঃ নুর আলম।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউ এ পর্যন্ত ৪৮টি আখের জাত উদ্ভাবন করেছে। বর্তমানে চিনিকলগুলো দেশের চাহিদার চারভাগের একভাগ চিনি উৎপাদন করতে সক্ষম। এ অবস্থায় ঘাটতি পূরণে আখের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এছাড়াও চিনির তুলনায় দেশে গুড়ের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। কর্মশালায় বিএসআরআই উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা এবং স্লাইড প্রদর্শন করা হয়। পরে ‘সুগারক্রপের উন্নত চাষাবাদ’ শীর্ষক বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের আরেকটি প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়। এ দু’টি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন চিনিকলের কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, কৃষি বিজ্ঞানী, গণমাধ্যমকর্মী, মিলজোন এলাকার আখচাষি, এনজিও প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ১৭০ জন অংশগ্রহণ করেন।