দেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচাল করা হলে জনগণও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার নিউইয়র্কে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ইউএনবি, নিউইয়র্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যদি দেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচাল করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। আমরা দেখতে চাই, দেশের বাইরে থেকেও যেন নির্বাচন বানচালের কোনো চেষ্টা না হয়।’

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে যাঁরা বলছেন, তাঁদের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলতে চাই, নির্বাচন বানচালের এই চেষ্টা দেশের বাইরে থেকেও করা উচিত নয়।’

গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে এখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই এবং লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটি ভুলে গেলে চলবে না।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কেউ বিকল্প উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে। তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি দেশের অভ্যন্তরে উদ্ভূত অনেক বাধা মোকাবিলা করে ক্ষমতায় রয়েছেন। জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, তাহলে দলটি আবার ক্ষমতায় আসবে।

দেশে ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ স্লোগানটি চালু করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দল এটি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। জনগণ এখন তাঁদের ভোটাধিকার নিয়ে যথেষ্ট সচেতন।

তাঁর সরকারের নির্বাচনী সংস্কারের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ। ফলে জাল ভোট দিয়ে বাক্স পূরণের কোনো সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো (নির্বাচনী ব্যবস্থা) সংস্কার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত আইনটি আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ করেনি। আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছি।’