যমুনার চরের চোরাবালিতে তলিয়ে যাচ্ছিল গাভিটি, উদ্ধার করলেন স্থানীয়রা

যমুনার চরে ঘাস খেতে এসে চোরাবালিতে আটকে যায় গাভিটি। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বড়কয়ড়া গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনার চরে ঘাস খেতে এসে চোরাবালিতে আটকে যায় একটি গাভি। আশপাশে তখন কোনো লোকজন না থাকায় সেখানে গাভিটি দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে। গাভিটির শরীরের বেশির ভাগ অংশ চোরাবালিতে আটকে যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয় কৃষকদের চোখে পড়লে তাঁরা সবাই মিলে ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর দড়ি বেঁধে গাভিটি উদ্ধার করেছেন।

আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বড়কয়ড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গাভিটি ওই ইউনিয়নের বন্নিগ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলামের।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি যমুনা নদীতে পানি কমতে থাকায় বড়কয়ড়া গ্রামে যমুনা নদীর পাড়ে একটি চর জেগে উঠেছে। সেই চরে ঘাস হয়েছে। আজ দুপুরে এলাকার কৃষকদের একটি গরুর দল সেই চরে ঘাস খেতে যায়। এ সময় হঠাৎ একটি গাভি চরের চোরাবালিতে আটকে যায়। আশপাশে লোকজন না থাকায় সেখানে গাভিটি দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে। ধীরে ধীরে গাভিটির শরীরের বেশির ভাগ অংশ চোরাবালিতে তলিয়ে যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয় কৃষকদের চোখে পড়ে। তাঁরা সবাই মিলে এক ঘণ্টা চেষ্টার পর দড়ি বেঁধে গাভিটি উদ্ধার করেন।

গাভিটির মালিক সফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁর লাখ টাকা মূল্যের গাভিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারের পর গাভিটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের এই যমুনা নদীর চরে চোরাবালির কারণে গবাদিপশু আটকে পড়ার এমন বিপজ্জনক ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। মানুষের দৃষ্টিতে না এলে আজ গাভিটির মৃত্যু হতে পারত।’

কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান  বলেন, যমুনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে পানির প্রবল ঘূর্ণাবর্তে এমন চোরাবালির সৃষ্টি হয়। পরে পানি কমে যাওয়ায় নদীর সেই সব স্থানে চর পড়ে। এমন চোরাবালিতে বিপদ ঘটে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করা জরুরি।