সাঁড়া ইউনিয়ন ইসলামপাড়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদী থেকে নিখোঁজের ছয় দিন পর মানিকুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন ইসলামপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

নিহত যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউপির মনোহরপুর গ্রামের ভীকু ইসলামের ছেলে।

নিহত যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৫ আগষ্ট দুপুরে চা খেতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় মানিকুল। ওই রাতে তিনি বাড়িতে না ফেরায় রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ করা হয়। পরের দিন আশপাশের বিভিন্ন স্থান ও স্বজনদের বাড়িঘরে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি পদ্মা নদীতে ভাসমান লাশ দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় লোকদের জানান। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ রাতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল  হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এরআগে নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।

পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন পদ্মা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিহতের অধোবস্ত্রের মধ্যে একটি মোবাইল ফোন ছিল। ফোনে প্রথম সেভ করা নম্বর দিয়ে তাঁর পরিচয় মিলে। পরে তাঁর ভাই মরদেহটি শনাক্ত করেছেন।’

নিহতের ভাই নূরুল ইসলাম জানান, ‘তাঁর ভাইয়ের ৪ মাসের মেয়ে এবং আড়াই বছরের ছেলে সন্তার আছে। তাঁর সঙ্গে কারও তেমন শত্রুতা ছিল না’।

লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক পদ্মা ট্রিবিউনকে জানান, 'ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করার পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে এই ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।'