পানিতে ডুবে মৃত্যু | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি নাটোর: বাড়ির পাশের খালে গোসলে নেমে পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল পাঁচ বছরের শিশু ফাতেমা খাতুন। তাকে উদ্ধারে ৯ বছর বয়সী চাচাতো ভাই আবদুস সবুর পানিতে ঝাঁপ দেয়। মুহূর্তেই দুই শিশুই পানিতে তলিয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা পর আবদুস সবুরের লাশ উদ্ধার করা গেলেও ফাতেমা এখনো নিখোঁজ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের উলুপুর গ্রামে।
নিখোঁজ শিশু ফাতেমা খাতুন একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে ও আবদুস সবুর তার চাচা সাহাদ আলীর ছেলে।
নাটোর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে উলুপুর গ্রামের ফাতেমা খাতুন বাড়ির পাশের উলুপুর খালে গোসল করছিল। হঠাৎ পানির স্রোতে সে ভেসে যাচ্ছিল। দৃশ্যটি দেখে ফাতেমাকে উদ্ধারে খালের পাড়ে থাকা আবদুস সবুর পানিতে ঝাঁপ দেয়। ঘটনাটি জানতে পেরে আশপাশের লোকজন উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার সার্ভিস রাজশাহীর ডুবুরি দলকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান শুরু করে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ডুবুরি দল আবদুস সবুরের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় কৃষক হায়দার আলী মুঠোফোনে বলেন, খালে বন্যার পানি আসায় আশপাশের বাড়ির ছেলেমেয়েরা খালে গোসল করে। খালের পানিতে স্রোতও ছিল। সেই স্রোতের তোড়ে ডুবে যায় শিশু ফাতেমা।
এ বিষয়ে জানার জন্য নাটোর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আক্তার হামিদের মুঠোফোনে কল করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে নাটোর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁদের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আক্তার হামিদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। এক শিশুর লাশ পাওয়া গেলেও আরেক শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।