চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি পাবনা: প্রথমে ইজিবাইককে রিজার্ভ ভাড়া করে নিয়ে যেত চক্রটি। পরবর্তীতে বাসা বাড়িতে খাওয়ার কথা বলে চালককে ভেতরে নিয়ে যেতেন। এরপর চক্রের আরেক সদস্য ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে যেতেন। এমন আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে মো. মঞ্জিল হোসেন জনি (২৬), একই উপজেলার করমজা ঋষিপাড়া গ্রামের মৃত একাব্বর আলীর ছেলে রিপন হোসেন (৩৭), ধোপাদহ গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. সাইদুল ইসলাম ওরফে ডুবার সাইদুল (২২), আতাইকুলার পিরপুর গ্রামের মৃত জাবেদ আলী প্রামানিকের ছেলে মো. রেজাউল প্রামানিক (৩৫) এবং জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (৩০)।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর পাবনা সদরের জালালপুর বাজার থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আকমল হোসেনের ইজিবাইক ভাড়া করে সুজানগরের দইপাড়ার বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার নাম করে নিয়ে যায়। তারা দুপুর ২টার দিকে আকমলকে বাড়িতে খাওয়ার কথা বলে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অপর সহযোগীরা ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হলে মাঠে নামে পুলিশ। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার আশুলিয়ার পাবনারটেকের ভাদাইল ও গাজীচরসহ বিভিন্ন জায়গায় দুইদিন অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা মো. মঞ্জিল হোসেন জনিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, চক্রের মূলহোতা জনি ও তার সহযোগিরা পাবনা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকাসহ দেশের অন্য জেলা থেকে ইজিবাইক, অটোররিকশা চুরি করে কাজিরহাট ফেরিঘাট পার হয়ে ঢাকার আশুলিয়ার পাবনারটেক, ভাদাইল, গাজীচর এলাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার অপর সহযোগী মাসুদ রানার (মেকার) মাধ্যমে ইজিবাইক গুলোর আকার, কালার পরিবর্তন করে বিভিন্ন গ্যারেজ মালিকদের কাছে ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে ৭০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার চুরি ছিনতাই সহ অন্যান্য মামলা রয়েছে।