রাজশাহী জেলার মানচিত্র |
প্রতিনিধি রাজশাহী: অবেদনবিদদের ফি ১০ শতাংশ বাড়ানোর শর্তে রাজশাহীর বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এই বাড়তি টাকা রোগীর কাছ থেকে আদায় করা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত ২০৩০ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলীর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ নওশাদ আলী বলেন, অবেদনবিদদের ফি সর্বশেষ ২০১৬ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর আর বাড়ানো হয়নি। তাঁরা বাড়ানোর একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বনিম্ন ফি হবে দেড় হাজার টাকা। অস্ত্রোপচারের ধরন অনুযায়ী এই ফি ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সেটা হবে ২০১৬ সালের ফি-এর সঙ্গে ১০ শতাংশ যোগ করে। তবে এই বাড়তি টাকা কোনোমতেই রোগীর কাছ থেকে হাসপাতালের মালিকেরা নিতে পারবেন না। তাঁরা নিজেরাই অবেদনবিদের সঙ্গে এটা সমন্বয় করে নেবেন। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সবাই একমত হয়েছেন। এ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে।
এর আগে গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল অবেদনবিদেরা ফি বাড়ানোর কারণে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মালিকেরা অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। কিন্তু রাজশাহীতে এই ধর্মঘট সেভাবে পালিত হয়নি। কয়েকটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চালু ছিল।
৪ সেপ্টেম্বর বিএসএর রাজশাহী শাখা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে পারিশ্রমিকের নতুন ফি জানিয়ে চিঠি দেয়। এ নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে ক্লিনিক-হাসপাতালের মালিকদের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।