ঈশ্বরদীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে জশনে জুলুস। বৃহস্পতিবার সকালে ঈশ্বরদী শহরের কলেজ রোড | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের ফতেমোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা থেকে বিশ্ব মানবতার শান্তির দূত হযরত মুহাম্মদের (সা.) সম্মানে দরুদে সালাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহু আকবার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরে খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনালে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল হয়।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল খায়ের রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি। এসময় তিনি বলেন, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর দিনটি সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। মহানবী (সা.) এর জন্ম না হলে পৃথিবী সৃষ্টি হতো না। তার জন্মের পরেই পৃথিবী নতুন করে আলোকিত হয়েছিল। মহানবী (সা.) শান্তির ধর্ম ইসলাম ও শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। হেরা পর্বতের গুহায় তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াত লাভ করেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, যখন নারীদের কোনো সম্মান ছিল না, সমাজ ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ তখনই মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। এই মহাপুরুষের আবির্ভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষ খুঁজে পেয়েছিল আলোর দিশা। তিনি আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক। তার সত্যের জ্যোতিতে বিশ্ববাসী হয়েছিল উদ্ভাসিত। তার আদর্শ অনুসরণ করে যদি আমরা চলতে পারি তাহলে সমাজ ব্যবস্থা আরও সুন্দর হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের প্রচার-প্রসারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে শিশুদের ছোটবেলা থেকেই ধারণা দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান এমপি।

অনুষ্ঠানে ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, কাউন্সিলর আমিনুর রহমান, ওয়াকিল আলম, সাবেক কাউন্সিলর কামাল আশরাফী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ইসলাম হোসেন আতিয়ার, সাবেক সহসভাপতি শরাফত হোসেন মুন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল আলম সনি উপস্থিত ছিলেন।