স্টাইলের জন্যই রোদচশমায়। মডেল: সাইলিনা পূর্বা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিবেদক প্রতিবেদক: আধুনিক লাইফস্টাইলের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সানগ্লাস। সারা বছরই সানগ্লাসের ফ্যাশনে নানা ট্রেন্ড ঘুরে ফিরে আসে। এখন সব বয়সী মানুষকেই সানগ্লাস পরতে দেখা যায়। তবে তরুণ-তরুণীদের কাছে এটি ফ্যাশন। বাইরে বের হলেই রোদ আর ধুলাবালি। শুধু রোদ কিংবা ধুলাবালির জন্য নয় আধুনিক লাইফস্টাইলে সানগ্লাস এখন অত্যাবশ্যকীয়। তাই ফ্যাশন সচেতন মানুষের চাহিদা এবং প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে ভিন্ন সব স্টাইলের চশমা। 

স্টাইলের ক্ষেত্রেও রয়েছে স্বতন্ত্র ভাব। যেমন খেলাধুলার সানগ্লাসের ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছুটা হালকা ওজনের। স্পোর্টিং ভাব আনতেই উপকরণ হিসেবে ফ্রেম ব্যবহার করা হয় কিছুটা হালকা সাইজের। সানগ্লাস নিয়ে সতর্কতা একটু বেশি জরুরি। সানগ্লাস ওজনে হাল্কা হলে পরতে বেশ আরামদায়ক লাগে। আবার ভারি ফ্রেমের সানগ্লাসও বাজারে অনেক। ভারি ফ্রেমের গ্লাস কিনতে আমেরিকান আর্মি, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর জনপ্রিয়। অন্যদিকে এডিডাস, ওকলে, কেলভিন ক্লাইনের সানগ্লাসও পছন্দ ক্রেতাদের। তবে তরুণ-তরুণীদের জন্য পছন্দের নামগুলো হলো ডলসি অ্যান্ড গাব্বানা, পলিস, প্রাডা, জর্জিও আরমানি ইত্যাদি ব্র্যান্ড। ভালো ব্র্যান্ডের আসল সানগ্লাস কিনতে চাইলে ভালো দোকান থেকে কিনতে হবে।

পুরুষ ও নারী প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল এবং ডিমান্ড। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায় ছেলেমেয়েদের একই রকম স্টাইল। ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা ডিজাইনের সানগ্লাস পাওয়া যায়। নিজের মুখের আকৃতি, রুচি এবং ব্যক্তিত্ব বিবেচনায় রেখে সানগ্লাস কিনুন। এক্ষেত্রে চেহারা গোলগাল হলে একটু লম্বাটে ধরনের সানগ্লাস বেছে নিন। আবার একটু লম্বাটে ধরনের মুখ হলে বিপরীত ডিজাইন। রঙের ক্ষেত্রে কালো, খয়েরি, সবুজ, ধূসর, নীলসহ বিভিন্ন রং পাওয়া যাচ্ছে। আবার ব্র্যান্ডভেদে রোদচশমার কার্যকারিতায়ও ভিন্ন। 

চশমার ব্যবহার প্রয়োজনেই। আবার রোদচশমা রোদ থেকে বাঁচায় চোখ জোড়াকে মডেল: সাইলিনা পূর্বা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ করে, এমন রোদচশমাকে বলে পোলারাইজড সানগ্লাস। সাধারণ নামি ব্র্যান্ডের চশমাগুলো পোলারাইজড হয়। আবার ছেলে ও মেয়েদের সানগ্লাসেও আছে ভিন্নতা। পাইলট, ওয়েফার বা ওভাল শেপের গ্লাস ছেলেদের জন্য মানানসই। রঙের ক্ষেত্রে কালো, বাদামি অথবা ধূসর। মেয়েদের জন্য রয়েছে পাথরের কাজ করা একটু চওড়া ফ্রেমের বেগুনি, গোলাপি, লাল রঙের চশমা। ইদানীং অবশ্য একটু পুরনো আদলের ডিজাইনগুলো নতুনভাবে ঘুরে ফিরে এসেছে। এ সময়ের ফ্যাশনেবল তরুণ-তরুণীরা সানগ্লাসকে ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছে।